‘মাদকমুক্ত শেরপুর গড়া’র শ্লোগান নিয়ে শেরপুরে অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় মেয়র কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩। বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ৬ নং ওয়ার্ড এবং রানারআপ হয়েছে ১নং ওয়ার্ড। এ টুর্নামেন্টি জেলার ক্রীড়াঙ্গনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।
শেরপুর পৌরসভার আয়োজনে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে ৬ নং ওয়ার্ডের স্ট্রাইকার শান্ত মিয়া জোড় গোল করেন। প্রতিপক্ষ ১ নং ওয়ার্ডের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন মিডফিল্ডার রাশেদ মিয়া।
টুর্নামেন্টে তিন খেলায় হ্যাটট্রিকসহ মোট ৪ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল্ডেন বুট পুরষ্কার লাভ করেছেন ৬ নং ওয়ার্ডের মিডফিল্ডার তানজিম ইসলাম সিজার।
ফাইনাল ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে ট্রফি ছাড়াও যথাক্রমে নগদ সোয়া লাখ টাকা এবং পঁচাত্তুর হাজার টাকা প্রাইজমানি প্রদান করা হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান বিজয়ী ও বিজিত দলের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
ফাইনাল খেলা শুরুর আগে উভয় দলের সাথে পরিচিত হন প্রধান অতিথি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি। এ সময় ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বি দুই দলের জন্যই এক লক্ষ টাকা করে দুই লক্ষ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেন।
বিপুল সংখ্যক দর্শক ফাইনাল খেলাটি উপভোগ করেন। গ্যালারি ছাপিয়ে দর্শকরা মাঠের ভেতর ঢুকে বসে যান। ঢাকা থেকে আগত ফিফা ব্যাজধারী রেফারিরা খেলা পরিচালনা করেন। দুই দলেই ৫ জন করে জেলার বাইরের খেলোয়াড় অন্তভুক্ত থাকায় মাঠে খেলা পাগল দর্শকের ঢল নামে। প্রাণবন্ত খেলায় দর্শকরাও উল্লসিত হন।
শেরপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড দল নকআউট ভিত্তিতে এবারের ৩য় মেয়র কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। প্রথম রাউন্ড থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত নিজ নিজ ওয়ার্ডের স্থানীয় ফুটবলাররাই এতে খেললেও ফাইনালে ৫ জন করে জেলার বাইরের খেলায়াড় অন্তর্ভুক্ত করায় ফাইনাল খেলাটি জমজমাট হয়ে ওঠে। প্রাথমিক পর্বে প্রতিটি ওয়ার্ড দলকে প্রতি খেলায় অংশগ্রহণ হিসেবে নগদ ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
এ ফুটবল টুর্নামেন্টটি জেলার ক্রীড়াঙ্গনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। এ জন্য ক্রীড়ামোদি দর্শক ও সংশ্লিষ্টরা পৌর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে ফুটবলের পাশপাশি পৌরসভার পক্ষ থেকে ওয়ার্ডভিত্তিক ক্রিকেট খেলাসহ আরও অন্যান্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনেরও দাবি জানানো হয়।
হাকিম বাবুল, শেরপুর/আরএস