জব্বারের বলীখেলা : চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন রানাস-আপ

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৭:২২ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
জব্বারের বলীখেলা : চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন রানাস-আপ

তারেকুল ইসলাম জীবন ও শাহজালাল বলী (বাঁ থেকে)

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলায় কক্সবাজারের তারেকুল ইসলাম জীবনকে হারিয়ে শিরোপার মুকুট পড়েছেন কুমিল্লার শাহজালাল। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ঐতিহ্যবাহী এ বলীখেলার ১১৪তম আসরের কুস্তি অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়া শাহজালাল বলী গত আসরে রানাস-আপ ছিলেন। তাকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কক্সবাজার জেলার চকোরিয়ার তারেকুল ইসলাম জীবন। তবে এবার আর পেরে ওঠেননি তিনি। অর্থাৎ, চ্যাম্পিয়ন জীবনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গত আসরের রানাস-আপ শাহজালাল

ঙ্গলবার বিকেলে দুই বলীর মাঝে চূড়ান্ত লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। কুস্তি শুরু হওয়র সাত মিনিট পর শাহজালাল বলীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রেফারি।

প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন যথাক্রমে খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা ও আনোয়ারার আব্দুর নূর। এবারের প্রতিযোগিতায় মোট ১১৪ জন কুস্তিগির অংশ নিয়েছিলেন।

বিকেলে শুরু এ বলীখেলায় চট্টগ্রাম ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মোট ৬০ জন বিশিষ্ট বলী অংশ নেন। তাদের মধ্যে ১২ জন চূড়ান্ত পর্বে উন্নীত হন। এ ১২ জন থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেরা ৪ জন সেমি-ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন।

প্রথম সেমি-ফাইনাল মুখোমুখি হন গতবারের চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম জীবন ও খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা। প্রায় ১১ মিনিট ৩৬ মিনিটের লড়াইয়ে সৃজন বলী হার মানেন জীবন বলীর কাছে।

দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে কুমিল্লার শাহ জালাল বলীর সাথে লড়াইয়ে নামেন আনোয়ারার আবদুর নুর। মাত্র ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের লড়াইয়ে শাহজালাল বলীর কাছে হার মানেন আবদুর নুর বলী।

আর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী পর্বে সৃজন চাকমা খুব সহজেই আবদুর নুর বলীকে পরাজিত করতে সক্ষম হন।

চ্যাম্পিয়ন হওয়া শাহজালাল ট্রফির পাশাপাশি প্রাইজমানি হিসেবে ৩০ হাজার টাকা পেয়েছেন। এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারীরা ট্রফির সঙ্গে যথাক্রমে ২০ হাজার, ১০ হাজার ও ৬ টাকা পেয়েছেন। চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

১৯০৯ সালে বকশিরহাটের স্থানীয় ধনী বণিক বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর এ কুস্তি প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। পরে তার নামানুসারেই ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনের নামকরণ করা হয়।



শেয়ার করুন :