শেরপুরে আয়োজিত প্রথম জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে শেরপুর পৌরসভা। টাইব্রেকারে নকলা উপজেলা দলকে ৯-৮ গোলে পরাজিত করে শেরপুর। এর আগে বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে খেলাটি ২-২ গোলে অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়েছিল।
খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন শেরপুর পৌরসভা দল স্বর্ণখচিত দৃষ্টিনন্দন ট্রফি ছাড়াও নগদ এক লাখ টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হয়। এছাড়া রানারআপ হওয়ায় নকলা উপজেলা দলকে রৌপ্যখচিত ট্রফি ছাড়াও ৫০ হাজার টাকা প্রাইজমানি প্রদান করা হয়।
শুক্রবার (১০ মার্চ) জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো আয়োজিত শেরপুর জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩-এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল ম্যাচটি বিপুল সংখ্যক দর্শক স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে উপভোগ করেন।
দুই দলেই একাধিক বিদেশি ফুটবলার থাকায় স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছাপিয়ে মাঠের ভেতরও দর্শক ঢুকে পড়েন। তবে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে খেলাটি সম্পন্ন হয়।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় ফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ২-২ গোলে শেষ হয়। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে প্রথম এগিয়ে যায় নকলা উপজেলা দল। পরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও একটি গোল দিয়ে ব্যবধান বাড়ায় নকলার খেলোয়াড়রা।
পিছিয়ে গেলেও গোল পরিশোধে একের পর এক আক্রমণে যায় শেরপুর পৌরসভা দল। মাত্র ১১ মিনিটে দুই গোল করে সমতা ফিরে শেরপুর। এরপর আর কোন গোল না হলে ২-২ সমতায় শেষ হয় খেলা। অমিমাংসিত থাকায় ম্যাচটি গড়ায় টাইব্র্রেকারে।
খেলা শেষে সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথিরা চ্যাম্পিয়ন-রানারআপ দলের হাতে ট্রফি ও প্রাইজমানি তুলে দেওয়া হয়। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভিডিও করে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, এমপি।
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আওতায় স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গণ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এ জন্য সরকার ক্রীড়া ও ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে কাজ করছে। যুব সমাজ খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ হলে মাদক ও মোবাইল আসক্ত থেকে বেড়িয়ে আসবে। এ জন্য সুন্দর সমাজ গঠনে যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি আরও সম্পৃক্ত করতে হবে। তবেই মাদকমুক্ত দেশ ও সমাজ গঠন হবে।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক, এমপি। বক্তব্যে হুইপ আতিক জেলা ক্রীড়া সংস্থার জন্য এক লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন।
শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভাসহ মোট ৮টি দল নিয়ে নকআউট পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবারের আয়োজনেই সফলভাবে শেষ হওয়ায় প্রতিবছরই এমন টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে বলেও জানানো হয়।
হাকিম বাবুল, শেরপুর/আরএস