নিজ জেলা সাতক্ষীরায় বীরের বেশে ফিরলেন সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ শিরোপা জয়ী ক্যাপ্টেন সাবিনা খাতুন। লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা এবং চ্যাম্পিয়নদের ছবি দিয়ে সাজানো ছাদখোলা পিক-আপে ক্যাপ্টেন সাবিনা খাতুনকে দেওয়া হয় সংবর্ধনা। জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থায় সাবিনা খাতুনকে নিয়ে পিক-আপটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে শিরোপা জয়ের পর বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। দেশের ফেরার পর দুই দিন ঢাকায় অবস্থান করার পর শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা।
শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরায় নিজ বাড়িতে ফিরেন সাফ জয়ী অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। এ সাতক্ষীরা জেলা শহরের সার্কিট হাউস থেকে লাল-সবুজ পতাকা ও চ্যাম্পিয়নদের ছবি দিয়ে সাজানো পিক-আপে ক্যাপ্টেন সাবিনা খাতুনকে নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জজকোর্টে গিয়ে শেষ হয়।
সাবিনাকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করার সময় দু’পাশে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ হাত নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে ক্যাপ্টেন সাবিনা খাতুনকে অভিবাধন জানান। সাবিনাও সকলকে হাত নেড়েও ফুল ছিটিয়ে অভিবাধনের জবাব দেন। এর আগে অধিনায়ক সবিনাকে ওরিয়র ক্লাবের আয়োজনে সার্কিট হাউসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
নিজ জেলায় সংবর্ধনা পাওয়ার পর অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, “নেপালে মাঠে নামার আগে দেশের মানুষ যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের সাপোর্ট করেছেন তাতে আমাদেরকে ভালো খেলতে আরও বেশি উজ্জীবিত করেছে। আজকে আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছেন এবং সম্মাননা দেখিয়েছেন সে জন্য জেলাবাসীর কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।”
দেশের ফুটবলে মেয়েদের এমন সাফল্য নিয়ে সাবিনা বলেন, “গত একযুগ ফুটবলের পিছনে সময় দিয়েছি আমরা, যার জন্য আজ এ সাফল্য। আগামীতেও নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করবো। আকবর স্যারের কারধণে আমি সাবিনা হতে পেরেছি।”
সংবর্ধনা এবং পুরো সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষে এনডিসি, জেলা ক্রীড়া সংস্থা সহ-সভাপতি মো. আশরাফুজ্জামান আশু, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদ হাসান মুক্তি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপন, সদস্য কাজী আক্তার হোসেন, ইকবাল কবির খান বাপ্পী, রুহুল আমীন, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সাজেক্রীস সদস্য ফারহা দিবা খান সাথী, শিমুন সামস্ সহ ওরিয়র স্পোর্টিং একাডেমির পরিচালক, কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরা/আরএস