চুলে কি পাক ধরেছে? দাবা খেললে হয়তো ধরতেও পারে! কি, ভয় পেলেন তো? আসলে তা নয়, দাবা হলো বুদ্ধির খেলা। তাই এখানে মাথা খাটাতে হয়। ফলে অনেকেই বলে থাকেন দাবা খেললে চুলে পাক ধরে।
ধীরস্থির ও ঠান্ডা ব্রেইনের খেলার নাম দাবা। এই খেলায় ভালো করতে হলে ব্রেইনটাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। ফলে মাথা খাঁটিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁদে ফেলা সম্ভব।
দাবা খেলায় চাই হিসাব-নিকাশের একদম ঠিকঠাক ব্যবহার। একটু ভুল করলেই প্রতিপক্ষের সৈন্য ঢুকে পড়বে আপনার রাজ্যে, ধ্বংস করে দেবে আপনার সামরাজ্য।
চলুন জেনে নেই ভালো দাবা খেলার নানা কৌশল :
১. দাবার প্রারম্ভিক কৌশল হচ্ছে দাবা ছক বা যুদ্ধের ময়দানের কেন্দ্র দখল করা । কারণ এই কেন্দ্র দখল করতে পারলে জয়ের আশা শতভাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে । এই কেন্দ্র থেকে খেলার মূলকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
২. কিভাবে কেন্দ্র দখল করা হয় ? অবশ্যই সৈন্য দিয়ে। এটা হলো সাধারণ ও সাবলীল সূচনা। বেশীর ভাগ খেলোয়াড়ই এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন । কিন্তু সৈন্য আগালেই চলবে না, সৈন্যকে একটি ব্যাকআপ এ রাখতে হবে বা সাপোর্ট দিতে হবে। তাই ঘোড়া, হাতি বা মন্ত্রী এসব দিয়েই সাপোর্ট দেওয়া যেতে পারে । যাতে প্রতিপক্ষ বিনা বাধায় কেন্দ্র দখল করতে না পারে।
৩. একটি ভালো দাবা প্রারম্ভের জন্য প্রাথমিক কয়েক চালে বা অপেনিং এ একই গুটি একাধিক না চালা । প্রয়োজনবোধে চালা যেতে পারে । প্রথম কয়েক চালে শুধু নতুন গুটিই মেধা দিয়ে চালতে হবে।
৪. আরও ভালো হবে দাবা খেলার প্রারম্ভেই চোখ কান খোলা রেখে ক্যাসলিং করে দূর্গ রচনা করা।
৫. সবচেয়ে ভালো হয় যদি খেলার শুরুতে বেশি সৈন্য চাল না দেওয়া। ১/২ বা বেশি হলে ৩টি সৈন্য নিয়েই আক্রমণ বা প্রতিরোধ শুরু করা ভালো। কারণ, শুরুতে শুধু সৈন্য অগ্রসর রাজার প্রতিরোধকে দুবর্ল করে দেয়।
৬. খেয়াল রাখতে হবে আক্রমণকারী কি করতে চাচ্ছে বা ধোকা দিতে চাচ্ছে ? তাই সাধারণ আক্রমণকে সরাসরি প্রতিরোধ বা পাল্টা আক্রমণ করে জবাব দিতে হবে।
৭. খেলার আরেকটা টিপস হচ্ছে অপেনিংয়ে বা প্রারম্ভে মন্ত্রী বা কুইনকে তাড়াতাড়ি বাহিরে বাহির না করা। এতে বিপদ হতে পারে। কারণ, এটি সবচেয়ে ক্ষমতা বান গুটি। এটার চলা-ফেরার তখন বাধা হতে পারে অন্য গুটির। তাই মধ্য বর্তী খেলায় একে বাহির করা উচিত।
সব শেষ সব কিছু কন্ট্রোল করে বুদ্ধি খাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আক্রমণ করতে হবে প্রতিপক্ষের দূর্গে।