এক পয়েন্ট অর্থাৎ ড্র করলেই শেষ ষোলোতে পা রাখতো সেনেগাল আর কলম্বিয়ার দরকার ছিল জয়। তাই করলো কলম্বিয়া। আফিকান দেশটিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেল। অন্যদিকে জাপানের সমান ৪ পয়েন্ট পেয়েও ফেয়ার প্লেতে পিছিয়ে পড়ায় বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলো সেনেগাল।
জাপানের মত প্রথম দু’ম্যাচ থেকে ১টি করে জয় ও ড্র’তে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে সেনেগাল। তাই শেষ ষোলোতে উঠতে এ ম্যাচ থেকে ১টি পয়েন্ট প্রয়োজন পড়ে তাদেরও। অপরদিকে শেষ ষোলোতে যাবার সুযোগ ছিল কলম্বিয়ারও। কারণ তাদের পয়েন্ট ছিল ২ ম্যাচে ৩। জিতলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত। তবে ড্র করলে হিসাব-নিকাশের মারপ্যাচ নিয়ে বসতে হতো তাদের। আর হেরে গেলে ছিল বিদায়।
সব হিসেব সামনে বৃহস্পতিবার সামারাতে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই কলম্বিয়ার সীমানায় আক্রমণ করে বসে ৪-৪-২ ফরম্যাটে শুরু করা সেনেগাল। মিডফিল্ডার চেখু কুয়াতের পাস থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের গোলবারের বাইরে শট নেন স্ট্রাইকার এম’বায়ে নিয়াং।
সেনেগাল প্রথম মিনিটে আক্রমণে গেলেও কলম্বিয়াকে প্রথম আক্রমণ করতে দেখা যায় ১২ মিনিটে। মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় সেনেগালের সীমানায় প্রবেশের চেষ্টা করেন কলম্বিয়ার মিডফিল্ডার হুয়ান ফার্নান্দো কুইন্টেরো। কিন্তু ঢুকতে না পেরে সেখান থেকেই গোলমুখ শট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটি গিয়ে জমা পড়ে সেনেগালের গোলরক্ষক খাদিম এনদিয়ারের হাতে।
২৮ মিনিটেও গোলের ভালো সুযোগ পায় সেনেগাল। স্ট্রাইকার নিয়াং-এর যোগান দেয়া বল ডান পায়ে কলম্বিয়ার গোলমুখে শট নেন মিডফিল্ডার ইসমাইল সার। কিন্তু সেটি দক্ষতার সাথে রুখে দেন ডেভিড ওসপানিয়া।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে বড় ধরনের ধাক্কা খায় কলম্বিয়া। ইনজুরির কারণে দলের সবচেয়ে বড় তারকা মিডফিল্ডার হামেস রদ্রিগেজ মাঠ ত্যাগ করেন। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন স্ট্রাইকার লুইস মুরিয়েল। এরপর ৩৭ মিনিটে আবারও আক্রমণে যায় সেনেগাল। এবারও গোল করানোর দায়িত্বে ছিলেন নিয়াং। তার যোগান দেয়া বল কলম্বিয়ার বক্সে পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ডিফেন্ডার সালিফ সানে।
দু’দলের গোল মিসের মহড়াতে গোল শূন্যভাবেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। তবে বল দখলে এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া। ৬১ শতাংশ বল দখলে নিয়ে সেনেগালের জালে বলের স্পর্শ দিতে পারেনি কলম্বিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে ৬৪ মিনিটে কলম্বিয়ার বক্সের সামান্য দূর থেকে ফ্রি-কিক পায় সেনেগাল। ফ্রি-কিক থেকে গোল আদায় করতে পারেননি স্ট্রাইকার সাদিও মানে। ৬৬ মিনিটে গোলের ভালো সুযোগ হাতছাড়া করেন কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার রাদামেল ফ্যালকাও। তবে ৭৪ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ থেকে গোলের স্বাদ নেয় কলম্বিয়া।
সেনেগালের কর্নারের কাছাকাছি জায়গা থেকে বল ক্রস করেন কুইন্টেরো। হাওয়ায় ভেসে আসা বলে মাথা ছুইয়ে গোল আদায় করে নেন ডিফেন্ডার ইয়েরি মিনা (১-০)।
পিছিয়ে পড়ে ৭৯ মিনিটে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় সেনেগাল। মিডফিল্ডার ইসমাইলা সারের ডান-পায়ের শট কলম্বিয়ার গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ফলে গোল আদায় করতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কলম্বিয়া। সেই সাথে ম্যাচ শুরুর আগে পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয়স্থান থেকে জয় পাওয়ায় শীর্ষে উঠে যায় তারা।