নাসের হেজাজি-সামির শাকির, ইরান-ইরাকের হয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের মঞ্চে দলকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বাংলাদেশ ফুটবলে অবশ্য তাদের আলাদা পরিচয় আছে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলেছেন, পাশাপাশি কোচ হিসেবে সামলেছেন মোহামেডান-আবাহনীর মতো ক্লাব। খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করে দুইজন দুই ক্লাবের কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে এ দুইজন কোচই ক্লাবের দায়িত্ব নিতে এসে জাতীয় দলকেও সামলেছেন। একই ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজেন।
১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে ইরানের গোলরক্ষক হিসেবে খেলেছিলেন নাসের হেজাজি। ১৯৮৭ সালে কোচ কাম খেলোয়াড় হিসেবে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডানে নাম লেখান তিনি। সে বছর লিগে মাত্র এক ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন হেজাজি। পুরো মৌসুমেই তিনি ছিলেন মূলত মোহামেডানের কোচ।
১৯৮৭, ১৯৮৮-৮৯ সালে পর পর দুই মৌসুমে মোহামেডানকে লিগ শিরোপা জেতান নাসের হেজাজি। ক্লাবের হয়ে বড় সাফল্য পাওয়ায় ১৯৮৯ সালে ইসলামাবাদ সাফ গেমসে জাতীয় দলের দায়িত্ব পান নাসের হেজাজি। সেবার সাফে বাংলাদেশকে জেতান রৌপ্য পদক। জাতীয় দলের হয়ে এ একটিই অ্যাসাইনমেন্ট করেন তিনি। এতেই সফল হন তিনি। এরপর ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মোহামেডানকে কোচিং করান নাসের হেজাজি।
নাসের হেজাজির সাথে একই বছর ঢাকায় আসেন সামির শাকির। ১৯৮৭ সালে তিনি খেলেন ঢাকার আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনীতে। সেবার নিজে দুর্দান্ত খেললেও দলকে লিগ শিরোপা জেতাতে পারেননি।
পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে আবাহনীর কোচ হিসেবে ঢাকায় আসেন সামির শাকির। তার অধীনে ১৯৯৯ গোয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে খেলে বাংলাদেশ। সাফে দলকে রানার্স আপ করেন তিনি।
এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ভারতের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় পেলেও উজবেকিস্তানে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হারে বাংলাদেশ।
এরপর আর বাংলাদেশের সাথে তার সম্পর্ক আর দীর্ঘায়িত হয়নি। পেশাদার কোচিং জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাথে তার সম্পর্ক ছেদ হয়।
এ দু’জনের পর ক্লাব থেকে জাতীয় দলের দায়িত্বে প্রমোশন পেতে যাচ্ছেন বসুন্ধরা কিংসে কোচ অস্কার ব্রুজেন। ২০১৮ সালে বসুন্ধরা কিংসের কোচ হিসেবে ঢাকায় আসেন অস্কার ব্রুজেন। এরপর বসুন্ধরা কিংসের কোচ হিসেবে পাঁচটি শিরোপা ঘরেও তুলেছিলেন। তবে জাতীয় দলের হয়ে কি রকম সাফল্য এনে দিবেন তা হয়তো সময়ই বলে দিবে।
সামির শাকির কিংবা নাসের হেজাজি দুইজনই জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে সফল হয়েছিলেন। ব্রুজেন দুই পূর্বসূরির মতো সফল হতে পারবেন কিনা তার উত্তর সময়ের অপেক্ষাতেই তোলা থাক।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]