সাকিব আল হাসান! একটি নাম, একটি ধ্রপদী তারা, লাল সবুজেল পতাকার বাহক, একজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, বাংলাদেশের পোস্টারবয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন, একজন মহানায়ক, একটি বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। আপনি যে নামেই বিশেষায়িত করুন না কেন তাতে বরং কমতিই রয়েছে যায়। তার হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে বহু থেকে বহুদুরে। একজন সাকিব আল হাসানের অভাব সবসময়ের জন্য ছিল, তিনি চলে গেলে আবারও তার অভাব আমাদের পোড়াবে।
১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ বাবা মাশরুর রেজা ও মাতা শিরিন শারমিনের কোলে জন্ম নেয় একজন ছোট্ট ফয়সাল। আজ ৩৩ বছরে পা দিলেন বাংলাদেশি পোস্টারবয়। সাকিবের জন্মদিনে স্পোর্টসমেইল২৪ এর পক্ষ থেকে শুভকামনা।
বাবা ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা সেই সাথে ফুটবল প্রিয় মানুষ। আর তাই তো স্বপ্ন ছিল ছেলেকে ফুটবলার বানাবেন কিন্তু হয়ে গেল উল্টো। ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে ফয়সাল হয়ে উঠলেন একজন সাকিব আল হাসান, একজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। একই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই খুলনায় টি-টোয়েন্টি ও পরের বছর চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় সাকিবের।
এখন পর্যন্ত ১৯৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সাকিব রান করেছেন ৫৫৭৭। আর ৫৫ টেস্টে রান করেছেন ৩৮০৭ এবং ৭২টি আন্তর্জাতিকটি-টোয়েন্টিতে রান ১৪৭১। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০৮৫৫ রানের মালিক সাকিব, যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
টেস্টে উইকেট সংখ্যা ২০৫, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ওয়ানডে ক্রিকেটে উইকেট সংখ্যা ২৪৭। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেট সংখ্যা ৮৫, যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এবং বিশ্ব ক্রিকেটে তৃতীয়।
টেস্টে সাকিবের অর্ধশতক ২৪, শতক ৫ ও ক্যারিয়ার সেরা ২১৭ রানের ইনিংস। ওয়ানডে ক্রিকেটে অর্ধশতক ৪০টি আর শতক ৭টি।টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অর্ধশতক ৮টি, ক্যারিয়ার সেরা রান ৮৪।