বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছে বাংলোদেশ সরকার। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিতকতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিকল্পনা নিয়েছে এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আয়োজন করার। আইসিসি এ ম্যাচগুলোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও দিয়েছে।
২০২০ সালের মার্চে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ এশিয়া একাদশে থাকছে না কোন পাকিস্তানের ক্রিকেটার! বিষয়টি নিয়ে খেলা ছেড়ে গড়িয়ে গেছে ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক পর্যায়ে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিসিসিআইয়ের যুগ্ম সচিব জয়েশ জর্জ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, মুজিব বর্ষের এশিয়া একাদশ এবং বিশ্ব একাদশের মধ্যে আসন্ন টি-টোয়েন্টি খেলায় এশিয়া দলে একজনও পাকিস্তানের খেলোয়াড়কে দেখা যাবে না।
তিনি বলেন, এশিয়া একাদশে পাকিস্তানের কোন খেলোয়াড় থাকবে না। এ বার্তাটি স্পষ্ট। সুতরাং উভয় দেশ একত্রিত হয়ে খেলা অথবা ‘এ দেশের খেলোয়াড়ের বদলে ওই দেশের খেলোয়াড় নেওয়া’ এ ধরনের প্রশ্নই আসছে না। আর ভারত থেকে কোন পাঁচজন খেলবে তা সৌরভ গাঙ্গুলি সিদ্ধান্ত নেবেন।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান এহসান মানির একটি টুইটকে কেন্দ্র করে আরও একবার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে। মানি তার টুইট বার্তায় লেখেন, আমরা প্রমাণ করেছি যে পাকিস্তান নিরাপদ। তারপরও কেউ যদি না আসে তাহলে তাদের প্রমাণ করতে হবে (আমরা) নিরাপদ নই। এ মুহূর্তে, পাকিস্তানের চেয়ে ভারত অনেক বেশি অনিরাপদ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলিসহ সাত ভারতীয় ক্রিকেটারকে খেলানোর জন্য বিসিসিআই-এর কাছে আবেদন করেছে। ধোনি, কোহলি ছাড়া বাকি পাঁচ ক্রিকেটার হচ্ছেন রোহিত শর্মা, জাসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার ও রবীন্দ্র জাদেজা।