বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে হারলো বাংলাদেশ

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১০:৪৪ এএম, ২১ জুন ২০২৪
বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে হারলো বাংলাদেশ

টাইগার বোলারদের বিপরীতে ১১.২ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ১০০ রানে সংগ্রহ গড়ায় বাংলাদেশের হারটা নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। তবে বৃষ্টির কারণে অসিদের আর ব্যাট করতে হলো না। বৃষ্টি আইনে এগিয়ে থাকায় ২৮ রানের জয় পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফলে হার দিয়ে সুপার এইটের যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের ব্যাটারটা ছিলেন সেই একই ধারায়। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তে রানে ফেরা এবং তাওহিদ হৃদয়ের ৪০ রানের ইনিংস ছাড়া বাকিরা ছিলেন সেই ব্যর্থতার কাতারেই। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪০ রান।

জবাবে ১১.২ ওভারে ২ উইকেটে ১০০ রান করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বৃষ্টির কারণে তৃতীয়বারের মত খেলা বন্ধ হয়। তখন বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল অসিরা। এমন অবস্থায়ন আর খেলা মাঠে না গড়ারে বৃষ্টি আইনে ম্যাচের ফল নির্ধারিত হয়।

৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ওয়ার্নার ৩৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। এছাড়া অন্যপ্রান্তে ১টি করে চার-ছক্কায় ৬ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশের রিশাদ ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন।

এর আগে শুক্রবার (২১ জুন) বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগায় স্যার ভিভিয়ান রিচাডর্স স্টেডিয়ামে শুরু হয় ম্যাচটি। ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলে অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশ ওপেনার তানজিদ হাসান।

দলের রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেন তানজিদ। চলতি বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের একটিতেও বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেনি।

শুরুতেই উইকেট হারানো পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের রান ও জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়। পরের ওভারে স্পিনার এডাম জাম্পার বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর আউট হন ২টি চারে ২৫ বলে ১৬ রান করা লিটন।

লিটনের বিদায়ে পিঞ্চ হিটার হিসেবে চার নম্বরে নেমে ২ রানে আউট হন রিশাদ হোসেন। কিছুক্ষণবাদে এ অবস্থায় উইকেটে সেট হয়ে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক শান্ত। জাম্পার বলে সুইপ করতে গিয়ে মিস টাইমিংয়ে লেগ বিফোর আউট হন তিনি। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৪১ রান করেন শান্ত।

১৩তম ওভারে দলীয় ৮৪ রানে শান্তর বিদায়ের পর জুটি গড়ার চেষ্টায় বেশি দূর যেতে পারেননি তাওহিদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। দলের রান ১শ পার হবার পর টি-টোয়েন্টি এক নম্বর অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিসকে বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন ১০ বলে ৮ রান করা সাকিব। ১৯ বলে ১৯ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। সাকিব ফেরার ওভারেই পরপর দু’টি ছক্কা মারেন হৃদয়।

প্যাট কামিন্সের করা ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ২ এবং জাকের আলির পরিবর্তে খেলতে নামা মাহেদি হাসান শূণ্যতে আউট হন। এতে হ্যাট্টিকের সুযোগ তৈরি হয় কামিন্সের। ২০তম ওভারের প্রথম বলে হৃদয়কে শিকার করে হ্যাট্টিক পূর্ণ করেন ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া কামিন্স।

দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাট্টিক করলেন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে ২০০৭ সালের বিশ^কাপে প্রথম হ্যাট্টিক করেছিলেন পেসার ব্রেট লি। সেটিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি সপ্তম হ্যাটট্টিক।

২টি করে চার-ছক্কায় বাংলাদেশের পক্ষে ২৮ বলে ৪০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন হৃদয়। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের ৭ বলে অপরাজিত ১৩ রানে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার কামিন্স ২৯ রানে ৩টি, জাম্পা ২৪ রানে ২টি উইকেট নেন।



শেয়ার করুন :