আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টাচার্চের হেগলে ওভালে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের তোপের মুখে আফগানদের ইনিংস ৪৮ ওভারে ১৮১ রানেই গুটিয়ে যায়।
জবাবে মাত্র চার উইকেট হারিয়ে ৭৫ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া যুবারা। অসি অল রাউন্ডার জোনাথন মারলো ২৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জ্যাক এডওয়ার্ডস ৬৫ বলে ৮টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারির সহায়তায় সর্বোচ্চ ৭২ রান করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভারত বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিজয়ী দলের সাথে শনিবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া।
গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠা আফগানিস্তান যুবাদের জন্য স্বপ্ন সত্যি হবার মতই ঘটনা ছিল। এমনকি নিউজিল্যান্ডকে ২০২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে আফগানিস্তান প্রথমবারের মত অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শেষ চার নিশ্চিত করে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে সেমিফাইনালে আফগান ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠতে পারেনি। যে কারনে স্পিন সমৃদ্ধ বোলিং আক্রমণ নিয়ে অসিদের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি।
ম্যাচ শেষে এডওয়ার্ডস বলেছেন, ‘আমরা তাদের স্পিনারদের নিয়ে কিছুটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি। আমরা তাদের খেলার সুযোগ দিয়েছি, চেষ্টা করেছি তারা আমাদের কাছ থেকে কিছু নেবার আগে আমরাই তাদের থেকে কিছু নিয়ে নেই। আজকের পিচ কিছুটা ধীর গতির ছিল। সম্ভবত সে কারণেই স্পিনারদের খেলতে কিছুটা সময় লেগেছে যা আমাদের সহযোগিতাই করেছে।’
আদ্রতাপূর্ণ কন্ডিশনে টসে জিতে আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত অবশ্য অনেককেই বিস্মিত করেছে। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইব্রাহিম জারদানকে (৭) দ্রুত হারানো পরে তারা কিছুটা ধীরে শুরু করে। ইকরাম আলি খিল কিছুটা ধীরে এগিয়ে ৮০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন। কিন্তু তাকে সঙ্গ দেবার মত অন্যপ্রান্তে কেউই ছিলেন না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনে আফগানিস্তানের স্কোর সমৃদ্ধ হয়নি। ২৫তম ওভারে ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আফগানরা চাপে পড়ে। বিশেষ করে ৮০ রানে ইকরাম সাজঘরের পথ ধরলে আফগানদের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ৪৮ ওভারে ১৮১ রানে আফগানিস্তানের ইনিংস শেষ হয়।
মাত্র ৮ রানে এডওয়ার্ডসকে জীবন ফিরিয়ে দিয়ে আফগানিস্তান মূলত জয়টা অস্ট্রেলিয়ার হাতেই তুলে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে এডওয়ার্ডস শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনাল উপহার দিয়েছেন।