ত্রিদেশীয় সিরিজের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কাকে ৩২১ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের শুক্রবার দুপুরে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাট করতে নেমে ধীরে চলো নীতি বড় অংকের সংকেত দেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। এনামুল ব্যাক্তিগত ৩৫ রানে ফিরে গেলেও তামিমের ব্যাটে রান আসতে থাকে।
টাইগার দলের হাফসেঞ্চুরি করেন তিনজন। তামিম ইকবাল ৮৪, সাকিব আল হাসান ৭৬ এবং মুশফিকুর রহিমের ৬২ রানের সুবাদে ৩২০ রানের বড় স্কোর দাঁড় করে বাংলাদেশ।
মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। তবে কয়েকবার জীবন পেয়েও সেটাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন বিজয়। ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এই ওপেনার।
থিসারা পেরেরার শর্ট বল পুল করতে চেয়েছিলেন বিজয়। ব্যাটে খেলতে পারেননি। গ্লাভস ছুঁয়ে সহজ ক্যাচ যায় উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকভেলার কাছে। এর আগে ২ ও ৩৪ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান এই ওপেনার।
বিজয়ের আউটের পর উইকেটে এসে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকেন সাকিব। খোলস ছেড়ে বের হন তামিমও। ওপেনার তামিম দেখা পান ক্যারিয়ারের ৪০তম হাফসেঞ্চুরির। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে ধনঞ্জয়ার বল দূর থেকে খেলে উইকেটরক্ষক ডিকভেলাকে ক্যাচ দেন তামিম।
আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন আত্মবিশ্বাসী ডিকভেলা।। তাতে পাল্টায় সিদ্ধান্ত, ফিরে যান বাঁহাতি ওপেনার। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৪ রান। ১০২ বলে ৭টি চার ও দুটি ছক্কায় এই রান করেন এই ওপেনার। আর এতেই ভাঙে সাকিবের সঙ্গে তামিমের ৯৯ রানের জুটি। তবে এদিন সব ফরমেট মিলিয়ে ১১ হাজার রান ছুঁয়েছেন তামিম।
এরপর ৬৩ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আসেলা গুনারত্নের কাছে ফিরতি ক্যাচ দেন সাকিব। ২৩ বলে ২৪ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর শেষ দিকে ১২ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৪ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলেন সাব্বির রহমান। মাশরাফি বিন মর্তুজা আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুজনই করেন ৫ বলে ৬ রান করে। সাইফউদ্দিন অবশ্য অপরাজিত ছিলেন।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩টি উইকেট নেন থিসারা পেরেরা। ২টি উইকেট নুয়ান প্রদীপের।