দাবি আদায়ে ধর্মঘটে সাকিব-তামিমরা

বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা। দাবি না মানা পর্যন্ত তারা কোন ধরনের ক্রিকেট আসরে অংশগ্রহণ করবেন না।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিসিবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-২০ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রমে অংশ নেবেন না ক্রিকেটাররা তবে যেহেতু অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে বিশ্বকাপ আছে, তাই তাদেরকে এ ধর্মঘটের আওতায় রাখা হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় দল, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারসহ সবাই এ ধর্মঘটের অন্তর্ভূক্ত এবং সেটা আজ থেকে। জাতীয় লিগ থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, জাতীয় দলের প্রস্তুতি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সবই এ ধর্মঘটের অন্তর্ভূক্ত।’

সমাধানের প্রশ্নে বলেন, ‘আলোচনা সাপেক্ষে অবশ্যই সবকিছুর সমাধান হবে। দাবিগুলো যখন মানা হবে তখন আমরা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাব।’

সাকিব আরও বলেন, ‘আমরাও সবাই চাই ক্রিকেটের উন্নতি হোক। এখানে একটা ক্রিকেটার কেউ তিন-চার বছর খেলবে, কেউ দশ বছর আছে। যারা ভবিষ্যতে আসবে, তাদের জন্য আমরা একটা ভালো পরিবেশ রেখে যেতে চাই যেখান থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সামনে এগিয়ে যাবে।’

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা ও সার্বিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব। বলেন, ‘বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় অনেক সময়ই এসেছে যে, আমাদের মানটা আসলে কোন পর্যায়ের। ম্যাচে যাওয়ার আগেই অনেক সময় জেনে যায় যে, কোন দল জিতবে আর কোন দল হারবে। এটা আসলে আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। এ জিনিসগুলো ঠিক করা আসলে খুবই জরুরি বলে আমরা মনে করি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেআপনারা জানেন, প্রিমিয়ার লিগের পরিস্থিতি কী। এটা নিয়ে কম বেশি সবাই অসন্তুষ্ট। এখানে পারিশ্রমিকের একটা মানদণ্ড বেঁধে দেওয়া হয়েছে। খেলোয়াড়দের অনেক লিমিটেশন দেওয়া হয়েছে। আগে যেমন ছিল, তেমনটা নেই। খেলোয়াড়রা আগে বাছাই করতে পারতো, কোন দলে খেলবে, পারিশ্রমিক কেমন হবে। আমাদের দাবি হলো আগের মতো যেন প্রিমিয়ার লিগটা ফিরে পাই।’

এদিকে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের ঘোষণায় ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ড এবং ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় দলের ক্যাম্প অনিশ্চয়তার মুখে পড়লো।