ইংল্যান্ডের মাটিত আগামী ৩০মে শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। ১৯৭৫ সালে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয় এ মেগা ইভেন্ট। তবে কালের পরিক্রমায় খেলাটিতে, টুর্নামেন্টে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এবার আমরা টুর্নামেন্টের কিছু বিশেষ রেকর্ডের দিকে আলোকপাত করব।
১৯৯২ আসর থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে এক জনকে ‘টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়’র পুরস্কার দেয়া হয়।
সন খেলোয়াড় দেশ পারফরমেন্স
১৯৯২ মার্টিন ক্রো নিউজিল্যান্ড ৪৫৬ রান
১৯৯৬ সনত জয়সুরিয়া শ্রীলংকা ২২১ রান ও ৭ উইকেট
১৯৯৯ ল্যান্স ক্লুজনার দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮১ রান ও ১৭ উইকেট
২০০৩ শচিন টেন্ডুলকার ভারত ৬৭৩ রান ও ২ উইকেট
২০০৭ গ্লেন ম্যাকগ্রা অস্ট্রেলিয়া ২৬ উইকেট
২০১১ যুবরাজ সিং ভারত ২৬২ রান ও ১৫ উইকেট
২০১৫ মিচেল স্টার্ক অস্ট্রেলিয়া ২২ উইকেট
ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়
১৯৯২ বিশ্বকাপের আগে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ছিল না। তবে ম্যাচ সেরা পুরস্কার সব সময়ই চালু ছিল। ফাইনালে ম্যাচ সেরা সির্বাচিত হওয়া মানে বিশ্বকাপ ফাইনালে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে যে খেলোয়াড়। আজ পর্যন্ত ফাইনালে বিজয়ী দলের কোন খেলোয়াড়ই পেয়েছেন এ পুরস্কার।
এ পর্যন্ত যারা ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন
সন খেলোয়াড়, দেশ পারফরমেন্স
১৯৭৫ ক্লাইভ লয়েড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০২রান
১৯৭৯ ভিভ রিচার্ডস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৮* রান
১৯৮৩ মহিন্দার অমরনাথ,ভারত ৩/১২ এবং ২৬ রান
১৯৮৭ ডেভিড বুন, অস্ট্রেলিয়া ৭৫রান
১৯৯২ ওয়াসিম আকরাম, পাকিস্তান ৩৩ রান এবং ৩/৪৯
১৯৯৬ অরবিন্দ ডি সিলভা, শ্রীলংকা ১০৭* রান এবং ৩/৪২
১৯৯৯ শেন ওয়ার্ন, অস্ট্রেলিয়া ৪/৩৩
২০০৩ রিকি পন্টিং, অস্ট্রেলিয়া ১৪০*
২০০৭ এডাম গিলক্রিস্ট, অস্ট্রেলিয়া ১৪৯ রান
২০১১ মহেন্দ্র সিং ধোনি,ভারত ৯১* রান
২০১৫ জেমস ফকনার, অস্ট্রেলিয়া ৩/৩৬
টুর্নামেন্ট রেকর্ড
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ভারতের শচিন টেন্ডুলকার। সবচেয়ে বেশি ছয় টুর্নামেন্ট খেলে যৌথভাবে তালিকার শীর্ষে আছেন টেন্ডুলকার ও পাকিস্তানের জাভেদ মিঁয়াদাদ। সবচেয়ে বেশি বার ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন শচিন। অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং ১৭০০’র বেশি রান করেছেন এবং বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি (৪৬) ও অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ (২৯) ম্যাচ খেলেছেন।
বিশ্বকাপ রেকর্ড(ব্যাটিং)
রেকর্ড প্রথম দ্বিতীয়
সবচেয়ে বেশি রান শচিন টেন্ডুলকার ২,২৭৮ রিকি পন্টিং ১৭৪৩
সর্বোচ্চ গড় (কমপক্ষে ২০ইনিংস) এবি ডি ভিলিয়ার্স ৬৩.৫২ মাইকেল ক্লার্ক ৬৩.৪২
সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট(কমপক্ষে ২০ ইনিংস) ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ১২০.৮৪ এবি ডি ভিলিয়ার্স ১১৭.২৯
দ্রুত ডাবল সেঞ্চুরি ক্রিস গেইল ১১৫ বল
প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে(২০১৫) মার্টিন গাপটিল ১৫২ বল
প্রতিপক্ষও:ইন্ডিজ (২০১৫)
দ্রুত ১৫০ রান এবি ডি ভিলিয়ার্স ৬৪ বল
প্রতিপক্ষ ও:ইন্ডিজ(২০১৫) —————
দ্রুততম সেঞ্চুরি কেভিন ও ব্রায়ান ৫০ বল
প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড (২০১১) গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৫১ বল
প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা(২০১৫)
দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ১৮ বল
প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড(২০১৫) ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ২০ বল
প্রতিপক্ষ কানাডা(২০০৭), এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ২০ বল
প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড(২০১৫)
সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি শচিন টেন্ডুলকার ৬টি রিকি পন্টিং ৫টি
সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ রান শচিন টেন্ডুলকার ২১টি কুমার সাঙ্গাকারা ১২টি
সবচেয়ে বেশি ডাক নাথান এ্যাস্টল ২২ ইনিংসে ৫বার ইজাজ আহমেদ ২৬ ইনিংসে ৫ বার
সবচেয়ে বেশি ছক্কা ক্রিস গেইল ও এবি ডি ভিলিয়ার্স ৩৭টি রিকি পন্টিং ৩১টি
এক ইনিংসে বেশি ছক্কা
ক্রিস গেইল ১৬টি
প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে(২০১৫) মার্টিন গাপটিল ১১টি
প্রতিপক্ষ ও:ইন্ডিজ(২০১৫)
১ ইনিংসে বাউন্ডারিতে সর্বোচ্চ রান মার্টিন গাপটিল ১৬২ রান
প্রতিপক্ষ ও:ইন্ডিজ(২০১৫) ক্রিস গেইল ১৩৬ রান
প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে(২০১৫)
সর্বোচ্চ পার্টনারশীপ মারলন স্যামুয়েলসও ক্রিস গেইল (২ উইকেট) ৩৭২ রান প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে ২০১৫ সৌরভ গাঙ্গুলি ও রাহুল দ্রাবিড় (২য় উইকেট) ৩১৮ রান প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা (১৯৯৯)
বোলিং:
সবচেয়ে বেশি উইকেট গ্লেন ম্যাকগ্রা ৭১ (১৯৯৬-২০০৭)
সবচেয়ে কম গড়(কমপক্ষে এক হাজার বল করেছেন) গ্লেন ম্যাকগ্রা ১৮.১৯ (১৯৯৬-২০০৭)
সেরা স্ট্রাইক রেট(কমপক্ষে এক হাজার বল করেছেন লাসিথ মালিঙ্গা ২৩.৮ (২০০৭-২০১৫)
সেরা ইকোনোমি রেট(কম পক্ষে এক হাজার বল করেছেন) এন্ডি রবার্টস ৩.২৪ (১৯৭৫-১৯৮৩)
সেরা বোলিং ফিগার গ্লেন ম্যাকগ্রা প্রতিপক্ষ নামিবিয়া ৭/১৫ (২০০৩)
এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট গ্লেন ম্যাকগ্রা ২৬ (২০০৭)
ফিল্ডিং
সবচেয়ে বেশি ডিসমিজাল (উইকেটরক্ষক) কুমার সাঙ্গাকারা ৫৪ (২০০৩-১৫)
সবচেয়ে বেশি ক্যাচ(ফিল্ডার) রিকি পন্টিং ২৮ (১৯৯৬-২০১১)
দল
সর্বোচ্চ স্কোর অস্ট্রেলিয়া প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ৪১৭/৬ (২০১৫)
সবচেয়ে কম স্কোর কানাডা প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা ৩৬(২০০৩)
শতাংশ হিসেবে সর্বোচ্চ জয় অস্ট্রেলিয়া ৭৪%( ৮৪ ম্যাচ, ৬২ জয়
একনাগারে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয় অস্ট্রেলিয়া ২৭ (২০ জুন ১৯৯৯-১৮ মার্চ ২০১১)
এক নাগারে বেশি আসরে জয় অস্ট্রেলিয়া ৩ (১৯৯৯-২০০৭)