বছতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দৃষ্টি রেখে দেশের মাঠে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। ঢাকা ভেন্যুতে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপক্ষে নবাগত দুর্দান্ত ঢাকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিপিএল লড়াই।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবারের বিপিএলটি কিছুটা পিছিয়ে শুরু করা হচ্ছে। এছাড়া সময় স্বল্পতা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে থাকছে না জমকালো কোন উদ্বোধনী আয়োজন। তবে খেলার মাঠে ক্রিকেটীয় প্রযুক্তির কোন কমতি রাখেনি বিপিএল আয়োজকরা।
এদিকে, বিপেএলের দশম আসর থেকেই বিশ্বকাপের দল গোছানোর কাজ শুরু করবে টিম মেনেজম্যান্টরা। পুরো বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারফর্ম্যান্সের উপর দৃষ্টি থাকবে কোচ ও নির্বাচকদের। ফলে জাতীয় দলের বাইরে এবং নতুনদের জন্য দারুণ একটি সুযোগ নিজেকে প্রমাণের।
শুক্রবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং নতুন নামকরন হওয়া দুর্দান্ত ঢাকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে বিপিএল। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দিনের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দু’টি ম্যাচই হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এবারের বিপিএল টুর্নামেন্টের উন্মাদনা যেমনটা হওয়া উচিত, সেটি প্রত্যাশিতভাবে হয়নি। তবে বিসিবি কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, টুর্নামেন্ট শুরু হলে তা সবার মধ্যে সাড়া ফেলবে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর মতে, “জাতীয় নির্বাচন থাকায়, সবাই সেখানে ব্যস্ত ছিল। এ জন্য আমরা উন্মাদনা তৈরিতে খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। তবে টুর্নামেন্টটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে আমরা সকল কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছি। মাঠের লড়াই শুরু হলে, এমনিতেই উন্মাদনার সৃষ্টি হবে।”
আগের মতো নয়, এবার টুর্নামেন্টটিকে ভালোভাবে সাজানোর অঙ্গীকার করেছিল বিসিবি। বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক বলেছেন, বিশেষভাবে মিরপুরের উইকেট এমনভাবে প্রস্তুত করা হবে যেন হাই-স্কোরিং ম্যাচ হয়। তবে মিরপুরের উইকেট সবসময়ই ধীরগতির এবং নিচু হয়ে থাকে।
আগেরবারের চেয়ে ধারাভাষ্যকে মনমুগ্ধকর করতে পাকিস্তানের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজাকে এনেছে আয়োজকরা। তারই স্বদেশি আমির সোহেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কিংবদন্তি কোর্টলি অ্যামব্রোস, শ্রীলঙ্কার রাসেল আরনল্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এইচডি অ্যাকারম্যানের সাথে ধারাভাষ্যে থাকবেন সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান রাজাও। তাদের সাথে স্থানীয় ধারাভাষ্যকাররাও থাকবেন।
এবার টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ডিআরএস সিস্টেম কার্যকর থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
এবার বিপিএলের ম্যাচ টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য থাকছে ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০০ টাকা। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকিট ২০০ টাকায়, উত্তর/দক্ষিণ স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ৪০০ টাকা, ক্লাব হাউস ৮০০ টাকা, ভিআইপি স্ট্যান্ড ১৫০০ টাকা এবং গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ২৫০০ টাকায় কেনা যাবে।