জেমি সিডন্সকে নিয়োগের সময় জানানো হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করবেন জেমি সিডন্স। তবে নেইল ম্যাকেঞ্জি ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব ছাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পান সিডন্স। তাকে সেই দায়িত্ব থেকে কিছুটা অব্যাহতি দিতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপের ব্যাটার তৈরি করতে এক বছর সময় চেয়েছেন সিডন্স।
সিডন্সকে নিয়োগের সময় বিসিবি জানিয়েছিল ব্যাটিং পরামর্শ হিসেবে এসেছেন। ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে এসেছেন ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব। তাকে সূচনার সেই দায়িত্বতেই ফিরিয়ে আনছে বিসিবি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বলেন, “সিডন্সের সঙ্গে কথা আগে থেকেই ছিল যে শুধু জাতীয় দল নিয়ে কাজ করবে না, ডেভেলপমেন্টে কাজ করবে। ওরও ইচ্ছে এরকমই ছিল। কিন্তু এখানে আসার পর শুধু জাতীয় দলের সঙ্গেই ভ্রমণ করছে। ডেভেলপমেন্টে কাজই করতে পারছে না। জাতীয় দলের ব্যস্ততার ফাঁকে সময়ই পাচ্ছে না। সামনে সে মূলত ডেভেলপমেন্টে কাজ করবে।”
তিনি আরও জানান, পজিশন ভিত্তিক ব্যাটার তৈরিতেই মনোযোগ সিডন্সের। আর এর জন্য এক বছর সময়ও চেয়ে নিয়েছেন।
বলেন, “বিভিন্ন বয়সী ১০-১৫-২০টি ছেলে যদি আমরা তাকে দিয়ে দেই, এইচপিতে এরকম ছেলে আছে, ‘এ’ দল, বাংলাদেশ টাইগার্সে আছে। ওদের নিয়ে কাজ করে সে তৈরি করে দেবে। সে এক বছর সময় চাচ্ছে। এরপর সে (ব্যাটিং) পজিশন ধরে ধরে আমাদের ব্যাটসম্যান দিতে পারবে।”
সিডন্সকে পাইপলাইন তৈরির কাজ দিলে ব্যাটিং কোচ হিসেবে কে কাজ করবে তা নিয়েও ভাবাচ্ছে বিসিবি সভাপতিকে। এ বিষয়ে তার ভাষ্য, “টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সে (সিডন্স) অবশ্যই জাতীয় দলের সঙ্গে যাবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এশিয়া কাপে তাকে পাঠাব কিনা। না পাঠালে দলকে যেতে হবে ব্যাটিং কোচ ছাড়া, এটাও খারাপ। আবার সে গেলে এখানে ডেভেলভপমেন্টের কাজ হবে না।”
দোলাচলে থাকা বিসিবি সভাপতি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসবেন। তখনই জানা হবে কে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব নিবেন। বলেন, “অনেক ইস্যু আছে। এসব নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। ২২ তারিখে আমরা আশা করি চূড়ান্ত করে ফেলব।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর