শেরপুরে জেলা পর্যায়ে ৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। এবার বালক ও বালিকা পৃথকভাবে ভলিবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল, সাইক্লিং ও এ্যাথলেটিক্স সহ ৬টি ডিসিপ্লিনের ৫২টি ইভেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজেতাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার ( ২৭ জানুয়ারি) বিকেলে স্থানীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলগত ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ এবং ব্যক্তিগত ইভেন্টে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারীদের হাতে মেডেল, ট্রফি ও পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু।
তিনি বলেন, খেলাধুলা বিনোদনের পাশাপাশি শরীর ও মনকে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে। পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, একাগ্রতার শিক্ষা লাভ করে থাকে। খেলোয়াড়রা জাতির দূত হিসেবে কাজ করে। মাশরাফির জন্য মানুষ নড়াইলকে চেনে, পেলের জন্য চিনে ব্রাজিলকে।
এ সময় তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং ক্রীড়া শিক্ষকদে প্রতি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সাথে সাথে খেলাধুলার প্রতি মনোযোগ বাড়ানোর তাগিদ দেন। একই সাথে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক তোফয়েল আহমেদের সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মো. মুহসীন আলী আকন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার, সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল, জেলা রেফারি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম শাহরিয়ার রবীন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য রাফিউল ইসলাম রুমেল, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, শরীরচর্চা শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিস আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জেলার ৫ উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। জেলার বিজয়ীরা পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করবে।
হাকিম বাবুল, শেরপুর/আরএস